চট্টলার কণ্ঠ নিউজ।
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ৭৭ বছর বয়সী নোবেল জয়ী অং সান সু চি নেইপিদোর নির্জন কারাগারে রয়েছেন। মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত অং সান সু চিকে আরো সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
এ নিয়ে তার সামগ্রিক জেলের সময়কাল ৩৩ বছর হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর সু চির সঙ্গে দলের বেশ কয়েকজন সদস্য, রাজনীতিবিদ, আইনপ্রণেতা, আমলা, ছাত্র, সাংবাদিকসহ কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে নোবেলজয়ী সু চি (৭৭) গৃহবন্দী ছিলেন।
গ্রেফতারের পর সু চির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের একগুচ্ছ মামলা করা হয়েছে। এরপরে তিনি ১৯টি অভিযোগে ১৮ মাসের বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
শুক্রবার তাঁকে পাঁচটি অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়। দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি,দাপ্তরিক গোপন আইন লঙ্ঘন,কোভিড জননিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন,একজন সরকারি মন্ত্রীর জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করার নিয়ম অনুসরণ না করাসহ ১৪টি বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভোট জালিয়াতি, উসকানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সব মিলিয়ে প্রায় দু’শ বছরের মতো কারাদণ্ড হতে পারে এ নেত্রীর।
তবে মিয়ানমারের সামরিক সরকার সু চির বিচার গোপনীয়তার সঙ্গে করেছে। যেখানে জনসাধারণ ও মিডিয়ার প্রবেশে বাধা ছিল। এমনকি তাঁর আইনজীবীদেরও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা নিষিদ্ধ ছিল।