ইমরুল কায়েস,ঢাকা প্রতিনিধি।
কনকনে শীত উপেক্ষা করে মেট্রো রেলের টিকিট সংগ্রহের দীর্ঘ লাইন। সাত মাস বয়সী শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সকাল পৌনে আটটা থেকে উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের বাইরে লাইনে অপেক্ষা করছেন আতিকুর রহমান রনি। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে চড়লেন মেট্রো রেলে, মাত্র তেরো মিনিটের সফর শেষে আগারগাঁও স্টেশনে।প্রবাসী রনির মতোই উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মেট্রো রেলের যাত্রী হওয়ার ইচ্ছায় স্টেশনগুলোতে জড়ো হয়েছিলেন অগণিত মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেট্রো রেল ভ্রমণার্থীদের ভিড় ছিল কিছুটা বেশি।
সকাল ৮টায় নির্ধারিত প্রথম মেট্রো রেল উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশন ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় যথাসময়ে। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে মেট্রো রেলের টিকিট সংগ্রহ করেছেন যাত্রীরা। এমআরটি পাসধারী যাত্রীরা লাইন এড়িয়ে সরাসরি প্রবেশ করেছেন স্টেশনগুলোতে।
উত্তরা দিয়াবাড়ী স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করে আগারগাঁওগামী যাত্রী শিবলী সাদিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ছুটির দিন অনেকেই মেট্রো রেলে চড়তে এসেছেন। দেড় ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষার পর টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছি।মেট্রো রেলের টিকিট সংগ্রহের নির্ধারিত বুথ এবং মেশিনে যাত্রীদের সহায়তায় নিযুক্ত ছিলেন স্কাউট সদস্য এবং মেট্রো রেলের কর্মীরা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে টিকিট বুথে জটলা ছাড়াও টিকিট সংগ্রহের মেশিনের নানা বাধ্যবাদকতায় স্টেশনের বাইরের লাইনে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে অতিরিক্ত সময়।
সকাল ১০টায় আগারগাঁও স্টেশনের বুথ থেকে টিকিট সংগ্রহে ব্যর্থ হন কলেজশিক্ষার্থী সামিহা আনজুম। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘বুথ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে নির্দিষ্ট নোট দিতে হয়। আমি ৬০ টাকার টিকিটের জন্য ২০০ টাকার নোট দিয়েছিলাম, ফেরত এসেছে।’
সকাল ১১টার কিছু সময় পর শেষ ট্রেনটি আগারগাঁও স্টেশন থেকে উত্তরার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। নির্দিষ্ট পরিমাণ যাত্রী স্টেশনে অবস্থানের পর বন্ধ করে দেওয়া হয় আগারগাঁও স্টেশনে প্রবেশের গেট। এ সময় বাইরে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করেন।নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় মেট্রো রেলে চড়তে ব্যর্থ হন সাভারের বাসিন্দা সুমন শেখ। আক্ষেপ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘ছুটির দিন ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে মেট্রো রেলে ঘুরতে এসেছিলাম। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও চড়তে পারলাম না।’