ইমরুল কায়েস,ঢাকা প্রতিনিধি।
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র হরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, এই সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েমের পাশাপাশি লুটপাট-বৈষম্যের দেশ বানিয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তাঁরা এসব কথা বলেছেন।
সমাবেশ থেকে ভোট ও ভাতের দাবিতে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীন নির্বাচন, ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি, লুটপাট রুখে দাঁড়ানো ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ জনজীবনের সংকট সমাধানে আগামী ৯ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।২০১৮ সালের নির্বাচনকে ভোট ডাকাতির নির্বাচন দাবি করে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এই দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার প্রেসক্লাবের সামনে মুখে কালো পতাকা বেঁধে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন জোটের নেতা-কর্মীরা।
বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, এই সরকারের অধীন ভালো নির্বাচন আশা করা যায় না। রংপুর ও গাইবান্ধার নির্বাচন বর্তমান সরকারের প্রতারণার নতুন কৌশল। এসব নাটক বন্ধ করে কীভাবে নির্বাচনকালে নির্দলীয় তদারকি সরকার গঠিত হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সরকার নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। বর্তমান সরকার চূড়ান্তভাবে জনবিচ্ছিন্ন। তাই রাস্তায় রাস্তায় ক্যাডার বাহিনী বসিয়েছে জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করার জন্য। তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশে এখন স্বৈরাচারী ব্যবস্থা শুধু রাষ্ট্রে নয়, তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে।বর্তমান সরকার অবৈধ দাবি করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, এই সরকার অবৈধ এবং ভোট ডাকাতির সরকার। এই সরকার সারা দেশের মানুষের ওপর জুলুম-নিপীড়ন জারি রেখেছে। লুটপাট ও পরিবারতন্ত্র বহাল রেখেছে। এই ভোট ডাকাতির সরকারকে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।সরকার কথায় কথায় সংবিধানের কথা বললেও তারা সংবিধান মানে না উল্লেখ করে বজলুর রশীদ বলেন, এরা মুখে সংবিধানের কথা বললেও সংবিধানে যে অর্থনৈতিক রূপরেখা ও শ্রমিকের মজুরিসহ জনগণের স্বার্থের কথা লেখা আছে, তা মানেনি। এখন এসব দল আবার কথার ফুলঝুরি ছড়াচ্ছে।