কাশ্মীরে তুমুল উত্তেজনা, নিহত ৬

চট্টলার কন্ঠ    নিউজ ডেস্ক

ভারতশাসিত কাশ্মীরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২টি হামলায় ৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উপত্যকাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজৌরি জেলার তিনটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন জঙ্গিরা। এতে ৪ জন নিহত ও ৯ জন আহত হন। আর আজ সোমবার ওই বাড়িগুলোর কাছাকাছি স্থানে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক শিশু নিহত ও চারজন আহত হন।

তবে বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ এসব ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

গতকালের ঘটনায় রাজৌরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট শুরু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন নিরাপত্তা ঘাটতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দুষছেন।
গতকাল যে চারজন মারা যান, তাঁরা সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের। গত বছরের বিভিন্ন সময় বাছাই করে হিন্দু হত্যা চালানো হয়। এতে সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান মনোজ সিনহা ‘রাজৌরিতে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন। আজ তিনি টুইট করে জানান, ‘আমি জনগণকে আশ্বস্ত করছি, এই ঘৃণ্য হামলার পেছনে যাঁরা, তাঁরা শাস্তি পাবেন’।

কাশ্মীর ঘিরে পরমাণু ক্ষমতাধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র বিরোধ রয়েছে। দুই দেশই এটিকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর থেকে কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুটি যুদ্ধ হয়েছে।তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালানো হয়েছে। এতে হাজারো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের মদদ দিয়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে। তবে এ অভিযোগ ইসলামাবাদ অস্বীকার করেছে।

২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর ছিল ভারতের মুসলিম-অধ্যুষিত একমাত্র রাজ্য। এই সময়ের পর কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যটির বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা (৩৭০ ধারা) প্রত্যাহার করে এবং দুটি পৃথক অঞ্চলে বিভক্ত করে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক