পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে দেড়শতাধিক নেতার লবিং

নিজস্ব প্রতিবেদক।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে গত ১২ ডিসেম্বর। সম্মেলনের পর পর কেন্দ্রীয় নেতারা সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটির দিকে তাকিয়ে আছেন দেড় শতাধিকেরও বেশি প্রবীণ এবং তরুণ নেতা। আছেন সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতারা।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ১২ ডিসেম্বর নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়ামের সামনের মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বহুল প্রত্যাশিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পরপরই আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি নেতাকর্মীদের সামনে নতুন কমিটির সভাপতি পদে পুনরায় মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুরনায় মফিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।

এসময় দেড় মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়ার জন্য নব-নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে সময়সীমা বেঁেধ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে বলেন, আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়ার জন্য দেড় মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই দেড় মাসের আগেই আমরা কমিটি কেন্দ্রে জমা দেব।

জানা গেছে, নতুন কমিটির সহ সভাপতি থেকে শুরু করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনাসহ সদস্য পদে আরো ৬৯টি পদ রয়েছে। চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় এক শীর্ষ নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য জেলার সাবেক নেতাদের অনেকেই এবং তরুণদের অনেকেই কেন্দ্রে নানাভাবে চেষ্টা-তদিবর করছেন। কমিটিতো ৭১ সদস্যের কিন্তু নেতা অনেক। সবার তো কমিটিতে স্থান হবেনা।

জেলা কমিটির সাবেক বেশ কয়েকজন নেতা চট্টলার কণ্ঠকে  বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে জেলার রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা চাই আমাদের ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন হোক। তবে কেন্দ্রীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলার সাবেক নেতাদের মধ্যে ক্লিন ইমেজের নেতাদের পদোন্নতি হতে পারে। একই সাথে জেলার সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষপদের ত্যাগীদেরও দক্ষিণ জেলার নতুন কমিটিতে স্থান হতে পারে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক