মির্জা আব্বাস ও ফখরুলের জামিন স্থগিত চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ

রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিগত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলটির কারাবন্দী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ বুধবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদনটি দায়ের করা হয়।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর আল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আজ আবেদনটি শুনানির জন্য চেষ্টা থাকবে।’

জামিন চেয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গত সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন। যার ওপর গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ তাঁদের ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গতকাল হাইকোর্টের আদেশের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হবে। শিগগিরই এ আবেদন করা হবে। কেননা, মহাসচিবের ড্রয়ারে দুই লাখ টাকা ও তাঁর কার্যালয়ে ককটেল পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে এসেছে, তাঁরা পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতা, যা আসামি চালানপত্রে (ফরোয়ার্ডিং লেটারে) উল্লেখ করা হয়েছে।’

একই মামলায় আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনবার নাকচ হয়। সবশেষ ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এ অবস্থায় গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাঁদের জামিন চেয়ে আবেদনটি করা হয়।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।

৯ ডিসেম্বর দুপুরে ডিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ‘পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তারপর থেকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস কারাগারে আছেন।

৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।

সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর থানায় একটি করে ও রমনা থানায় দুটি মামলা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক