বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিভাগের ৪২০ নম্বর কক্ষে বহিষ্কাৃত এক পরীক্ষাথীকে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি এক সভায় বোর্ড অব রেসিডেন্স এবং হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটি তাকে বহিষ্কার করে।
Nagad
নিয়ম অনুযায়ী, বহিষ্কারের মেয়াদকালে ক্লাস ও পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চিঠি ইস্যু প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পেরেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের এখনও কোনো চিঠি বা নোটিশ দেয়নি। তাই আমরা তাকে পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।’
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে আমরা লিখিত আদেশ তৈরি করে সাংবাদিকদের জানিয়েছি। কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে জানানো হয়নি।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, মারামারি ও সাংবাদিক হেনস্থাসহ বিভিন্ন ঘটনায় ছয়টি সিদ্ধান্তে মোট ১৮ জনের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স এবং হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন সভা। এদের মধ্যে ১৭ জন ছাত্রলীগ কর্মী।