চট্টগ্রামে স্পায়ের আড়ালে মামুনের রমরমা দেহ ব্যবসা

বডি মাসেজ (স্পা)এর আড়ালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসির মোড় এ দেহ ব্যবসা চালাচ্ছিল মামুন নামের এক মাদক কারবারি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণী পাশ হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মামুন। অভাব-অনটনের কারণে পড়ালেখা বেশি দূর এগোয়নি। কক্সবাজার থেকে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে এসে আগে তিনি মুদির দোকানে চাকরি করতেন, পরে সেলুনে দোকানে চাকরি করেন। সেলুনেও মন টেকেনি তার। পরে
মামুন মাদকের আর পতিতার ব্যবসা করে বর্তমানে রাতারাতি কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছেন।
গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়,মামুনের এই স্পা সেন্টারে সব সময় পাওয়া যেত ২০/ ২৫ জন পতিতা। স্টকে রয়েছে আরো শতাধিক বিভিন্ন বয়সের নারী। ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী এইসব নারীদের তিনি সরবরাহ করেন।কলেজ, ইউনিভার্সিটি,ডিভোর্সি গৃহবধূসহ বিভিন্ন বয়সের নারীদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে  এনে দেহ ব্যবসা, যৌননিপীড়ন, বিকৃত কাম বাসনা চরিতার্থ করা হয় এই স্পা সেন্টারে।
খদ্দরের চাহিদামত আউটকলেও নারী সরবরাহ করা হয়।চাইলে সেখানে মাদক ও মেলে। যা সামাজিক অবক্ষয় ও অপরাধ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
সরেজমিনে চট্টলার কণ্ঠ প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহের জন্যে গেলে মামুনের ম্যানেজার প্রথমে কোন প্রকার তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান, এরপর সমঝোতার কথা বলেন।
স্পা সেন্টারের মালিক মামুনকে মুঠোফোনে ফোন করা হলে দম্ভোক্তি করে তিনি বলেন,”আমি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলি, নিয়মিত মাসোহারা দিই। মহানগর যুবলীগ করি আমি।”

নেতার নাম জিজ্ঞেস করলে এবং নেতা এ ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি মুঠোফোনে লাইন কেটে দেন।
এব্যাপারে খুলশী থানার ওসিকে মুঠোফোনে জানালে ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, “স্পা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈধ নয়, তার উপর পতিতা ব্যবসাকে আমি প্রশ্রয় দেয়ার কথা ভিত্তিহীন। শীঘ্রই এই স্পায়ের মূলোৎপাটন করা হবে। মামুন এর স্পাতে আমার টিম গিয়ে গতকাল কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে, মামুনকেও আইনের আওতায় আনা হবে।”

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক