বৃষ্টি কবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক চট্টলার কণ্ঠকে  জানান, মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগসহ নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

বড় এলাকাজুড়ে বিরাজমান সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। গত বছরের ১৫ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি। এর আগে ২০১৪ সালে ৪২ ডিগ্রি এবং ২০২১ সালে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে।

২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। তার আগে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল, ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬০ সালে ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল।

রোজার মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহে সারাদেশে মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে। বৈশাখের শুরুর দিনেও এমন গরম থাকবে বলেই আভাস। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, এপ্রিলে তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকেই। গেল ক’বছরেও তাপপ্রবাহ বিরাজ করেছে। এ সময়ে দখিনা বাতাস নেই, বাতাসে আর্দ্রতা কম, মানে জলীয় বাষ্পও তেমন নেই। যার কারণে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং গরমও বেশ অসহনীয় হচ্ছে। দেশের ৪৯টি জেলার উপর দিয়ে বিরাজমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কৃষি ও মাঠ ফসলের সুরক্ষায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক