ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) ব্যবহার করেই কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর টোল সংগ্রহ করা হবে। আগামী অক্টোবর মাস থেকে এ সিস্টেমের ব্যবহার ছাড়া কোনো যানবাহন টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে পারবে না। গতকাল শনিবার সওজ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। একইভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন আরও ১০টি টোলপ্লাজায় ইটিসি সিস্টেমে টোল আদায় করা হবে। ইটিসি সিস্টেমে পুরোপুরি টোল আদায় শুরু হলে টোলপ্লাজায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে টোল প্রদানের ঝামেলা কমে আসবে। এতে যানজটের মাত্রাও কমবে।
- গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে সওজ জানায়, সড়ক ও জনপথের আওতাধীন নয়টি সেতু ও দুটি সড়কে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এসব টোলপ্লাজায় ইটিসি ব্যবহার ছাড়া আগামী অক্টোবর মাসের পর কোনো যানবাহন অতিক্রম করতে পারবে না। নয়টি সেতু ও দুটি মহাসড়ক হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতু, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা সেতু, কুমিল্লার গোমতী সেতু, নরসিংদীর ভৈরব সেতু, পটুয়াখালীর পায়রা সেতু, খুলনার খান জাহান আলী (রুপসা) সেতু, নরসিংদীর চরসিন্দুর সেতু, শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু, নাটোরের আত্রাই টোলপ্লাজা, পাবনার লালন শাহ সেতু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। উল্লিখিত টোলপ্লাজাগুলোতে ইটিসি ব্যবহারকারীকে নির্ধারিত টোল থেকে প্রণোদনা হিসেবে ১০ শতাংশ ছাড় প্রদান করা হচ্ছে। নেক্সাস-পে, রকেট এবং উপায় অ্যাপের মাধ্যমে এ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ইটিসি ব্যবহার করা যাবে।
এর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসেবে ‘ইটিসিতে টোল দেব, দ্রুত সেতু পার হবো’ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পাইলটিং প্রকল্প শুরু করে। সে হিসেবে বিভিন্ন সেতুতে একটি করে ফাস্ট ট্র্যাক ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) লেন চালু করা হয়। ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম (ইটিসি) হল এমন একটি সিস্টেম যা গ্রাহককে টোল গেট অতিক্রম করার সময় গাড়ি না থামিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। অনেকসময় বিপুল সংখ্যক গাড়ি হতে টোল আদায় করতে গিয়ে টোল লেনে প্রায়ই গাড়ির লাইন তৈরী হয়ে যায়। এ ছাড়া ইদে বা বিভিন্ন উৎসবে গাড়ির সংখ্যা বাড়লে তখন লেনে গাড়ির লাইন অনেক দীর্ঘ হয়। বর্তমানে ফাস্ট ট্র্যাক লেন ব্যবহার করে টোলপ্লাজায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লি. এর নেক্সাস-পে অথবা রকেট একাউন্ট এর টোল কার্ড ব্যবহার করে উক্ত সুবিধাটি পাওয়া যায়। সুবিধাটি পেতে গাড়ির নম্বরটি টোল কার্ডের সাথে ডাচ- বাংলা ব্যাংক এর যেকোন শাখা, ফাস্ট ট্র্যাক বা নেক্সাস-পে থেকে রেজিস্টেশন করে টোল কার্ডের প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স নিশ্চিত করা হয়। আর সহজেই ব্যবহারকারীর গাড়িতে বিদ্যমান সচল ও কার্যকর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগের মাধ্যমে টোল প্রদান করা যায়।