নগর যুবলীগের নেতৃত্বে সুমন-দিদার
মেয়াদ তিন বছর, এর মধ্যে এক বছর ১৩দিন পার ৪০ জনের আংশিক কমিটি। বুধবার , ১৪ জুন, ২০২৩ at ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ
সম্মেলনের দীর্ঘ এক বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমনকে। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নগর যুবলীগের আরেক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. দিদারুল আলমকে। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের যৌথ স্বাক্ষরে আগামী তিন বছরের জন্য ১৩১ সদস্যের মধ্যে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটির তিন বছরের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ মে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দিন থেকে। সেই হিসেবে ঘোষণার আগেই এই কমিটির মেয়াদ চলে গেছে ১ বছর ১৩দিন।
উক্ত কমিটিতে শূন্য পদসমূহ পূরণ করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ–দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিপ্ততে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কমিটির সহ সভাপতি : গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ঘোষিত কমিটিতে ১৩জনকে সহ–সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির সহ সভাপতিরা হলেন– নগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি ও নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. নুরুল আনোয়ার, নগর যুবলীগের সাবেক সহ–ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরশাদ আসাফ, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা, সাবেক সদস্য হেলাল উদ্দীন আহমদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী সদস্য সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাবু, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য আসহাব রসুল চৌধুরী জাহেদ, মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য ও নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য ও আইন কলেজের সাবেক জিএস শাহজাদা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সাকু, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য ও নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর মোহাম্মদ নুরুল আলম মিয়া।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : নগর যুবলীগের কমিটিতে ৫ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি পদ খালি রেখে অবশিষ্ট ৪ জন যুগ্ম সম্পাদকের নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। এই চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন–চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য দিদারুল আলম দিদার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য ও জহুর আহমদ চৌধুরীর দৌহিত্র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমদ।
সাংগঠনিক সম্পাদক : চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে ৭ জনকে। সাত সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন– নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য সনত বড়ুয়া, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ দিদার উর রহমান, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক জিএস গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি এজেএম মহিউদ্দিন রনি, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল।
প্রচার সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের পদ খালি রাখা হয়েছে। এছাড়াও কমিটিতে গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, অর্থ সম্পাদক পদে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মান্না বিশ্বাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও আইন কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান রুমেল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি হাফেজ কেএম শহীদুল কাওসার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দীন আহমদ, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর রেজাউল করিম, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক পদে নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য নঈম উদ্দীন খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদটি খালি রাখা হয়েছে। ক্রীড়া সম্পাদক পদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সম্পাদক ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রাজীব হাসান রাজন। এদিকে পরিবেশ সম্পাদক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদকের পদ খালি রাখা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপু। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, উপ প্রচার সম্পাদক, উপ দপ্তর সম্পাদক, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, উপ অর্থ সম্পাদক, উপ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক, উপ আইন সম্পাদক, উপ ত্রাণ সম্পাদক, উপ সমাজ কল্যান সম্পাদক, উপ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, উপ তথ্য–যোগাযোগ সম্পাদক(আইটি), উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ খালি রাখা হয়েছে। এদিকে উপ–স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে নগর ছাত্রলীগের সাবেক উপ–নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ডা. মো. শরীফুল ইসলাম আদনান, উপ–ক্রীড়া সম্পাদক পদে ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান আহমেদ সামিকে রাখা হয়েছে।
উপ জনশক্তি ও কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, উপ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, উপ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, উপ কৃষি ও সমবায় সম্পাদক, উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, উপ মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের পদ খালি রাখা হয়েছে।
কমিটিতে সহ সহ সম্পাদকের পদ রাখা হয়েছে ২১টি। তার মধ্যে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফেরদৌস আহমেদ ও এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল নিপুর নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হলেও ১৯টি সহ–সম্পাদকের পদ খালি রাখা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য পদ রাখা হয়েছে ৪০টি। এরমধ্যে কেন্দ্র থেকে তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন–মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর দৌহিত্র আলী ইকরামুল হক, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সহ–সভাপতি মোহাম্মদ ওয়াসিম, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সম্পাদক খন্দকার মোক্তার আহমেদ আরিফ।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ারে হোসেন শাহজাদা আজাদীকে জানান, আগামী তিন বছরের জন্য ১৩১ সদস্যের মধ্যে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটির তিন বছরের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ মে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দিন থেকে। উক্ত কমিটিতে শূন্য পদসমূহ পূরণ করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য জমা দিতে হবে। আমরা ১৩১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাঠামো তৈরি করে দিয়েছি। এই কাঠামো অনুযায়ী কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। এর বাইরে যাওয়া যাবে না।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর নগর যুবলীগের নতুন সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আজাদীকে বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজপথের কর্মী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম–থাকবো। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের শ্রদ্ধেয় শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাই আমার রাজপথের ত্যাগের মূল্যায়ন করায় আমি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আমি চট্টগ্রামে যুবলীগের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করবো।