চট্টলার কণ্ঠ নিউজ।
কোনো সুস্থ ব্যক্তি সপ্তাহে দুই দিন লাল মাংস গ্রহণ করলে তা তেমন কোনো জটিলতা তৈরি করে না। তবে কোরবানির ঈদের সময় অন্যান্য খাবারের তুলনায় লাল মাংসের পদই বেশি খাওয়া হয়। একটানা মাংস খেয়ে গেলে তৈরি হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি। প্রতি বেলায় ঘরে রান্না করা মাংস ১৫ গ্রাম, ২৫ গ্রাম বা দুই-তিন টুকরার বেশি খাবেন না।
যারা হার্টের রোগী বা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাদের গরু বা খাসির গোশত অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। যাদের মেদভুঁড়ি আছে, ওজন বেশি হলে সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। তবে কারোরই দিনে ৭০ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া উচিত নয়। গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো সপ্তাহে দুই দিন বা সপ্তাহে মোট তিন থেকে পাঁচ বেলা।
পুষ্টি উপাদান : গরুর মাংস শুধু যে ক্ষতিকর তা নয়, কিছু ভালো উপাদান যেমন প্রোটিন, ভিটামিন-(বি১, বি৩, বি৬ ও বি১২), জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন ভালো পরিমাণে এতে পাওয়া যায়। এই পুষ্টি উপাদানগুলোর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক।
যেভাবে রান্না করবেন : দৃশ্যমান জমানো চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করতে হবে। কম তেলে রান্না করতে হবে। উচ্চ তাপে রান্না করতে হবে; মাংস রান্নার সময় ভিনেগার, টক দই, পেঁপে বাটা, লেবুর রস ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এতে চর্বির ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব; প্রতি বেলায় খাবারের সঙ্গে এক কাপ পরিমাণ শসা, লেবু, টমেটো ইত্যাদির সালাদ রাখতে হবে; খাওয়ার কিছু সময় পর তালিকায় লেবু পানি বা টক দই রাখলেও তা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে; তিন বেলা মাংসের তৈরি ভারী খাবার না খেয়ে যেকোনো এক বেলা একেবারেই হালকা খাবার, যেমন সবজির স্যুপ, সবজি ও ফলের নানা আইটেম রাখতে পারেন।
সতর্কতা : সাধারণত কোনো সুস্থ ব্যক্তি সপ্তাহে দুই দিন লাল মাংস গ্রহণ করলে তা তেমন কোনো জটিলতা তৈরি করে না। তবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতাসহ অন্য রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাংস গ্রহণ করতে হবে।