চট্টলার কণ্ঠ নিউজ।
সিঙ্গাপুরের দুর্নীতিবিরোধী কর্তৃপক্ষ দেশটির এক মন্ত্রী ও এক প্রভাবশালী হোটেল ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে। দিন কয়েক আগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, দুজনই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন, শুক্রবার বলেছে তারা। কী অভিযোগের তদন্তে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় সে বিষয়ে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জিজ্ঞাসার জবাবে ইমেইলে সিঙ্গাপুরের করাপ্ট প্র্যাকটিসেস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিপিআইবি) জানায়, মঙ্গলবার পরিবহনমন্ত্রী এস ঈশ্বরন ও বিলিয়নেয়ার হোটেল ব্যবসায়ী অং বেং সেংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। খবর বিডিনিউজের।
বুধবার সিপিআইবি জানায়, তারা ঈশ্বরনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সিঙ্গাপুরে দুর্নীতির ঘটনা খুবই বিরল। এশিয়ার শীর্ষ এই আর্থিক হাব নিজেদের দুর্নীতিমুক্ত সরকার নিয়ে গর্বও করে। ঘুষ–দুর্নীতি নিরুৎসাহিত করতে সিঙ্গাপুরে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিশাল অংকের বেতন দেওয়া হয়। দেশটির কোনো কোনো মন্ত্রী বছরে কেবল বেতনই পান ১০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলারের (৭ লাখ ৫৮ হাজার মার্কিন ডলার) বেশি। নগর–রাষ্ট্রটিতে গাড়িদৌড়ের প্রতিযোগিতা ফর্মুলা ওয়ান নিয়ে আসা অং–এর কোম্পানি জানিয়েছে, তারা দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার তদন্তে সহায়তা করছে। ঈশ্বরনের পাসপোর্ট জব্দ করা হলেও সিপিআইবি অং–কে শুক্রবার সিঙ্গাপুর ছাড়ার অনুমতি দেয়। অংয়ের বিদেশযাত্রার আবেদনে পর্যালোচনা শেষে সিপিআইবি সম্মতি দিয়েছে। তার জামিনের পরিমাণও বাড়িয়ে এক লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে ফেরার পর তাকে সিপিআইবিকে জানাতে হবে এবং পাসপোর্ট জমা দিতে হবে, বলেছেন দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি। সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত কোম্পানি হোটেল প্রোপার্টিজ লিমিটেড (এইচপিএল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অংয়ের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। সিপিআইবি তাকে তার সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রীর যোগাযোগ ও কথোপকথন বিষয়ে তথ্য দিতে বলেছে।