সিলেকশন বোর্ডের ‘অসঙ্গতি’ বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মার্কেটিং বিভাগের তিন শিক্ষকের পদোন্নতি রেফার ব্যাক (পুনঃবিবেচনা) করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা। গত ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে সকল সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে এ রেফার ব্যাক করা হয়। তবে এতে কোনো শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিবেচনা শেষে পদোন্নতি পেয়ে যাবেন এবং জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হবে না বলে দাবি তাদের।
জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগে সহযোগী অধ্যাপকে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শারমীন আক্তার, উম্মে সালমা খানম ও তানিয়া করিম। এছাড়া প্রফেসর পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহেদুল কাদের, মো. বজলুর রহমান ও ড. শান্ত বণিক। এরমধ্যে ড. শান্ত বণিকের আবেদন গত ১৬ মার্চ বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটি পদোন্নতির জন্য অনুমোদন দেয়। বাকি ছয় জনের ব্যাপারেও নানা সময় বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটি পদোন্নতির জন্য অনুমোদন দেয়।
সূত্রে জানা যায়, পরিকল্পনা কমিটিতে অনুমোদন হলেও সহযোগী অধ্যাপকের জন্য আবেদনকৃতদের ব্যাপারে তিন ধরনের মতামত আসে সিলেকশন বোর্ডে। এদের ব্যাপারে সিলেকশন বোর্ডে নির্ধারিত বিশেষজ্ঞরা
পদোন্নতির জন্য দ্বিমত প্রকাশ করেন। প্রফেসর পদে তিনজনকে সিলেকশন বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে মো. বজলুর রহমানকে যে প্রকাশনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে একই প্রকাশনা দিয়ে আরেকজন সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য বাদ পড়েছেন। চার সহযোগী অধ্যাপক পদে আবেদনকারীর বিষয়ে তিন মতামত এবং একই প্রকাশনায় কাউকে অনুমোদন কাউকে অনুমোদন না দেয়ার বিষয়টাকে অসঙ্গতি হিসাবে দেখেছেন সিন্ডিকেট। এজন্য পুরো বিষয়টাকে পুনরায় বিবেচনার জন্য সিলেকশন বোর্ডকে রেফার ব্যাক করেছেন।
সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী চট্রলার কণ্ঠকে বলেন, কিছু অসঙ্গতি থাকায় আমরা মনে করেছি এটা এটি দ্বিতীয় বার চিন্তা করার দরকার আছে। তাই পুরো বোর্ডটি পুনরায় বিবেচনা করতে দেয়া হয়েছে। এতে আশা করি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।