সবমিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৬৮৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি হন ১৮ হাজার ৮৮৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ১১ হাজার ৮০০ জন। আর কেবল জুলাইয়ের ২১ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ৭০৭ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জন মারা গেছেন। তাতে এডিস মশাবাহিত রোগে এ বছর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭ জনে। তাদের মধ্যে ১২০ জনের মৃত্যুই হয়েছে চলতি মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তাদের মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে, বাকি দুইজন ঢাকার বাইরে। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬ হাজার ৬৫৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ৮৩৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৮১৭ জন।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে ৫ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাইয়ের প্রথম ২১ দিনেই সেই সংখ্যা বেড়ে সাড়ে তিনগুণ হয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে। গত মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হলেও চলতি মাসের তিন সপ্তাহে প্রাণ গেছে ১২০ জনের। মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে ১ হাজার ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ২৮১ জন মানুষ মারা যায় ২০২২ সালে। গত বছর সারাদেশে ৬২ হাজার ৩৮২ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।