আবহাওয়া যেন আর সহায় হলনা নগরবাসীর। বৃষ্টি না হওয়ায় পুরো আষাঢ় মাস জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাওয়া গেছে। তবে গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে ফের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে নগরের বিভিন্ন স্থানে।
কখনো মুষলধারে, আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছে। এই কদিন সকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেও নগরবাসীর পিছু ছাড়ছে না যেন বৃষ্টি। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ডের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জানা গেছে, নগরের আগ্রাবাদ, শুলকবহর, বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় নালাগুলোর আবর্জনা অপসারণ না করায় সামান্য বৃষ্টিতেও এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
বৃষ্টিতে নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে মুরাদপুরের দিকের সড়ক, আতরার ডিপো থেকে হামজারবাগ সিনেমা গলি, প্রবর্তক মোড়, চকবাজারের কাপাসগোলা, বাকলিয়া, রিয়াজউদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাটের কিছু অংশসহ নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এসব এলাকায় বাসিন্দারা। এসব এলাকার ছোট ছোট নালায় আবজর্নায় আটকে থাকায় অলিগলি ছেড়ে সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল চট্রলার কণ্ঠকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। টানা আরও দুই থেকে তিনদিন এভাবে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হতে পারে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।