রবিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর কমলছড়ি ইউনিয়নের ভূয়াছড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী পানছড়ি উপজেলার আইয়ুব আলী মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মো. সারোয়ারের ছেলে। সে ভূয়াছড়িস্থ বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, দুষ্টুমি করার কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম তাকে বেদড়ক মারধর করেন। পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে ওই শিক্ষক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবিরকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিক্ষার্থীর মরদেহ সেখানে রেখেই পালিয়ে যান ওই শিক্ষক। শিশুটির শরীরের একাধিক স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নির্যাতন করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার পিসি দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাফেজ মো. আমিনুল ইসলাম। সে একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ফরিদুর রহমান চট্টলার কন্ঠকে বলেন, আমি আসরের সময় বাড়িতে ছিলাম। মোবাইলে জানতে পারি আবিরকে মারধর করা হয়েছে; সে বেশি অসুস্থ। তখন দ্রুত তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলি। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন আসে আবির মারা গেছে। তখন হাফেজ আমিনুল ইসলামকে বলি আপনি হাসপাতালে থাকেন। হাসপাতালে এসে ফোন দিয়েছি তখন উনার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্রলার কন্ঠকে জানান, শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। শিশুটির মৃত্যুর পর থেকে ওই শিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।