ইমরান নাজির।
২০১৪ সালের জুন মাসে একনেকে অনুমোদন পাওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হলে নগরের পৃথক ৮ ওয়ার্ডের ১০ লক্ষ জনগণ জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
কাল সকালে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত দুই দশমিক নয় কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন খালটির খনন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মেয়র। তিনি বলেন, খাল খনন সম্পন্ন হলে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় দশ লক্ষ বাসিন্দা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রশস্ত দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বারইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূর নগর হাউজিং হয়ে ওয়াইজপাড়া থেকে বলিরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে। তিনি স্থানীয়দের খাল–নালায় পলিথিনসহ অন্যান্য বর্জ্য না ফেলার আহ্বান জানান।
প্রকল্প পরিচালক ও চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম চট্রলার কণ্ঠকে বলেন, সাম্প্রতিক রেকর্ড বৃষ্টিতে প্রকল্পের কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু জটিলতাও রয়েছে। ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করতে বর্তমানে দিন–রাত কাজ চলছে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহীন আকতার রোজী, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরীসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।