চট্টলার কণ্ঠ নিউজ।
আগাম কোনো বার্তা না দিয়েই হুটহাট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সার্ভার বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ সেবাগ্রহীতারা। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন হাজার হাজার সেবাগ্রহীতা নির্বাচন অফিসগুলোতে যান নানা ধরনের সেবা নিতে। এছাড়া সার্ভারের তথ্য নিয়ে সরকারি–বেসরকারি ১৭১টি প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে। বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ গ্রাহক প্রতিদিন সেবা নিচ্ছেন। হুটহাট সার্ভার বন্ধ থাকলে সেবাগ্রহীতারা ভোগান্তিতে পড়েন। এনআইডি সেবা এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলেন, আগে থেকে গণবিজ্ঞপ্তি বা কোনো ধরনের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে দেওয়া হলে ভোগান্তি কমে যেতো। খবর বাংলানিউজের।
বেসরকারি এক ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক চৌধুরী (ছদ্মনাম) বলেন, অ্যাকাউন্ট খোলা, লোন, অন্যের মাধ্যমে ৫০ হাজারের বেশি টাকা জমা–উত্তোলন ইত্যাদি কাজে আমাদের এনআইডি ভেরিফাই করে নিতে হয় ইসির সার্ভার থেকে। আজ হঠাৎ সার্ভার বন্ধ করায় আমরা ইনস্ট্যান্ট সেবাটা দিতে পারিনি। অনেক কাস্টমার ফেরত গেছেন। এটা তাদের জন্য সময় ও অর্থের অপচয়। তাই বিষয়টা আগেই জানিয়ে রাখা উচিত। সার্ভার ব্যবহারকারীদেরও একটা মেইলে দিতে পারে যে অমুক দিন সেবাটা পাবেন না। এছাড়া গণমাধ্যমেও প্রচার করতে পারেন তারা।
সার্ভার বন্ধ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ইসির ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার (এনআইডি) সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সকাল থেকে সার্ভারের কাজ চলছে। তাই এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা ২০ সেপ্টেম্বর (আজ) ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীরের দফতরে গেলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি তারা।
সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এনআইডি সেবা সময় সময় বন্ধ রাখা হয়। এর আগে গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা থেকে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা এনআইডির সার্ভার বন্ধ রাখা হয়েছিল।