কর্ণফুলীর তলদেশে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের ক্ষণগণনা চলছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ২৮ অক্টোবর খুলে যাবে স্বপ্নদুয়ার। সেই মাহেন্দ্রক্ষণকে সামনে রেখে বেড়ে গেছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যস্ততা।
টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে হবে সুধী সমাবেশ। এই সমাবেশকে সফল ও উৎসবমুখর করতে গতকাল শুক্রবার আনোয়ারা প্রান্তে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। এ সময় আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব রিদোয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম এ মালেক, বারশত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ্, বৈরাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ভূমিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাড. ইমরান হোসেন বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক জসীম উদ্দিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা তাঁর সাথে ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল হয়ে গাড়িযোগে পার হওয়ার পর সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন। সেখানে তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলবেন।
এই সমাবেশে কারা অংশ নেবেন সেটা এখনো চূড়ান্ত না হলেও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনায় সমাবেশের জন্য সুবিধাজনক স্পট নির্ধারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও কাজ করছেন। সে অনুযায়ী ভূমিমন্ত্রীর নেতৃত্বে গতকাল শুক্রবার চায়না শিল্পজোন, কাফকো সেন্টারের কেইপিজেডের উত্তর গেইটের মাঠ ও দক্ষিণ গেইটের মাঠসহ সম্ভাব্য ৩টি স্পট পরিদর্শন করেন।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন চট্রলার কণ্ঠকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। তার আগে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সমাবেশের স্থান পরিদর্শন করেন।
এসময় পরিদর্শনকালে ভূমিমন্ত্রী বলেন, বহুকাঙ্ক্ষিত কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। বঙ্গবন্ধু টানেল আনোয়ারাকে বিশ্বের দরবারে নতুন পরিচিতি এনে দিয়েছে। আনোয়ারা মডেল উপ শহরে রুপান্তরিত হয়েছে। ইনশাল্লাহ আমি আমার প্রয়াত পিতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর আনোয়ারা কর্ণফুলীবাসীকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে টানেলকে ঘিরে আনোয়ারা কর্ণফুলীতে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। টানেলের কারণে আনোয়ারা বিশ্বের দরবারে নতুন পরিচিতি লাভ করেছে।
বর্তমানে দেশি–বিদেশি বিনিয়োগের ফলে আনোয়ারায় ব্যবসা বাণিজ্যের সমপ্রসারণে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। যোগাযোগ, শিল্প, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, পর্যটন ও অর্থনীতিতে আনোয়ারার উন্নয়ন মাইলফলক হয়ে থাকবে।
চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন পরিকল্পনায় আনোয়ারার উন্নযন সমপ্রসারিত হচ্ছে। তার আগে ভূমিমন্ত্রী আনোয়ারার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা বায়তুল আমান জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন