চট্রলার কণ্ঠ নিউজ ডেস্ক।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ভারতের রাজধানী দিল্লীতে জি টোয়েন্টি সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি এবং পরে ওয়াশিংটনে তার সঙ্গে আবারও সাক্ষাতে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে একজন সাংবাদিক শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, এবারের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের কথায় তিনি আর কোনো বার্তা পেয়েছেন কি না।
উত্তর দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের কিছু লোক নির্বাচন নিয়ে ‘একটু বেশি কথা’ বলে, সেই কারণে বিদেশিরাও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায়। দুর্ভাগ্য হলো সেটাই, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে, সেই সময় নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে তাদের (বিদেশিদের) উদ্বেগ দেখি নাই…।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকা হঠাৎ এবং অন্যান্য দেশ আমাদের দেশের নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ কি না প্রশ্ন তোলে, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যখন মিলিটারি ডিকটেটর ছিল, যখন আমরা সংগ্রাম করেছি, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা সংগ্রাম করেছি ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য। আমরা স্লোগান দিয়েছি আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, সেই জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া, এটা তো আওয়ামী লীগই করেছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ জোট, তারা এক হয়ে আন্দোলন করে, এজন্য আমাদের বহু রক্ত দিতে হয়েছে। আমি সে কথাটা বলেছি তাদেরকে (যুক্তরাষ্ট্রে)।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাকে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ শেখাতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রাম, এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমরা করেছি। এবং তারপরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সেই নির্বাচন হয়েছে বলেই জনগণ আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে, আর একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই, অর্থনৈতিক উন্নতিটা হয়েছে। আজকে যতটুকু বাংলাদেশের মানুষ পাচ্ছে, এটাতো আওয়ামী লীগ এবং আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তো এই উন্নতিটা হচ্ছে। তো এখন এত প্রশ্ন আসে কেন, সেটাই আমার কথা। তাহলে কি একটা দেশ এত উন্নতি করে ফেলছে, সেটাই সকলের মাথাব্যথা হয়ে গেল কি না, যে এটাকে এখন কীভাবে নষ্ট করা যায়। ওই প্রচেষ্টা কি না, ওই সন্দেহটা আমারও আছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন, সন্দেহ হয় রে, এটাই বলতে হয়। আসল কথা নির্বাচনটা বানচাল করে দেওয়া।”
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার বার একই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তারা বাস্তব অবস্থাটা বোঝে কি না আমি জানি না, কিন্তু তাদের একই কথা, মানে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। সেটা আমি স্পষ্ট বলে আসছি। কেন, ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম, রক্ত দিলাম, আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আমাকে ভোট শেখাতে হবে না।”
যারা ভোট চুরি করেছে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবই তো ভোট চোর। এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। দারিদ্রসীমা ৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। কেউ ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না। সন্দেহ হয় সেজন্যই