গেল ৩২ বছরে চট্টগ্রাম মহানগর ও আশপাশের ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ ধ্বংস ও ৯৫টি আংশিক কেটে ফেলা হয়েছে, যা মোট পাহাড়ের ৬০ শতাংশ। ৩২ বছর আগেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২০০ পাহাড় ছিল।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম ইতিহাস-সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের যৌথ উদ্যোগে জঙ্গল সলিমপুরসহ চট্টগ্রামের সব পাহাড় সংরক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, স্বাধীনতার পর ২০০৮ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৮৮টি পাহাড় ধ্বংস হয়েছে। একই সময়ে আংশিক কাটা হয়েছে ৯৫টি। এর পরের ১২ বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাহাড় নিধন।
বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান বলেন, স্থানীয় পাহাড় কাটা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক এস এম সিরাজুল হক একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে ‘হিল কাটিং ইন অ্যান্ড অ্যারাউন্ড চিটাগং সিটি’ শীর্ষক গবেষণা করেন। নিবন্ধটি প্রকাশ হয় ২০১১ সালে। এতে বলা হয়, বেশিরভাগ পাহাড় কাটা হয় পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজিদ, লালখানবাজার মতিঝরনা, ষোলশহর ও ফয়’স লেকে।
১৯৭৬ সালে নগরের পাঁচ থানা এলাকায় মোট পাহাড় ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৮ সালে তা কমে হয় ১৪ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার। এ সময়ে ১৮ বর্গকিলোমিটারের বেশি পাহাড় কাটা হয়। এ ছাড়া নগরের বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি পাহাড় কাটা হয়।