কোর্ট হিলের নতুন আদালত ভবনের পাদদেশে চলাচলের রাস্তার ধারে সারি সারি রাখা আছে মামলার আলামত। এসব আলামতের মধ্যে রয়েছে প্রাইভেট কার, হাইচ, সিএনজি থেকে শুরু করে রিকশা ও মোটর সাইকেল। আলামত সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত কক্ষে জায়গা সংকোলন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় এসব আলামত খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে। এতে রোধে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে মামলার প্রাণ খ্যাত আলামত। এছাড়া আলামতের নানা যন্ত্রাংশ ছুরির ঘটনাও ঘটছে। বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী মানুষ এমনকি কারাগার থেকে আদালতে আনা নেওয়ায় ব্যবহৃত গাড়িকেও সমস্যায় পড়তে হয়। হাজতখানার সামনের সরু রাস্তার একপাশে সারি সারিভাবে রাখা আলামতগুলোর কারণে এসব গাড়ি ঘুরাতেও সমস্যা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদন্তাধীন ও বিচারাধীন মামলার আলামতগুলোর জন্য আলাদা একটা শেডের ব্যবস্থা করা দরকার। যেখানে নিরাপদে থাকবে আলামতগুলো। সরু রাস্তাটিও ফ্রি থাকবে। হাজতীদের গাড়ি প্রবেশ ও বের হতে ভোগান্তিও আর থাকবে না। আদালতসূত্র জানায়, চট্টগ্রাম জেলার জন্য দুটি মালখানা রয়েছে। এ দুটি মালখানার অবস্থান নতুন আদালত ভবনের ১ম ও তৃতীয় তলায়। তৃতীয় তলার জেলা মালখানায় আলামত রয়েছে সাড়ে তিন হাজার। ১ম তলার মহানগর মালখানায় রয়েছে ৫১ হাজারের বেশি মামলার আলামত। মহানগর মালখানার ইনচার্জ।
এ বিষয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম নেওয়াজ চট্রলার কন্ঠকে বলেন, আমাদের মালখানায় জায়গা সংকোলন না হওয়ায় বাইরে কিছু আলামত রাখা হয়েছে। বাধ্য হয়েই আমরা এটি করেছি। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। গত জানুয়ারি মাসে এডিসি প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ডিসি ক্রাইম এন্ড অপারেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিএমপির পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। একটি শেড হলে খুবই ভালো হয়। শেডের ব্যবস্থা হলে খোলা আকাশের নিচে মামলার আলামত রাখতে হবে না। মালখানার বাইরে কতো আলামত রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সঠিক সংখ্যা জানা নেই বলেও জানান উপপরিদর্শক মো. গোলাম নেওয়াজ।