কলিম উল্লাহ।
সাতকানিয়ায় ছুরিকাঘাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ২১জনকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও ৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। নিহত শাহাদাতের ছোট ভাই মো. খোরশেদ আলম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন গ্রেপ্তার হওয়া মো. বাহার উদ্দীন তারেককে ১ নম্বর ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুর রহমানকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে লেখা হয়, স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে আসামিরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসহ দেশি-বিদেশি মাদক ক্রয়-বিক্রয় করত। সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পেয়ে সামাজিক নিরাপত্তা ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হতে থাকে। ঘটনাস্থলসহ ওই এলাকায় রাত্রীকালীন প্রহরীর কাজে নিয়োজিত ছিলেন নিহতের চাচা আবু তালেব। এ কারণে অপরাধীদের অপকর্ম বাধা পায়। আসামিদের মধ্যে ১ নম্বর আসামি তারেক মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী। ২ নম্বর আসামি ইউপি সদস্য আরিফুর রহমান তারেকের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। আরিফের নেতৃত্বে গঠন করা হয় মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট। ঘটনার দিন আবু তালেবের ভাইয়ের ছেলে শাহাদাত ও আহত আনোয়ার চাচাকে মারধরের বিষয়টি তারেকের কাছ থেকে জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারেকের হাতে থাকা ছুরির আঘাতে নিহত হন শাহাদাত। ওই সময় তার ভাই আনোয়ার ও শাহনেওয়াজ আহত হন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্রলার কণ্ঠকে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের খুঁজে বের করা হবে। ইতোমধ্যে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিগত ২১ নভেম্বর উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মিঠাদীঘি এলাকায় মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী মো. বাহার উদ্দীন তারেকের ছুরিকাঘাতে ছদাহা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন নিহত হন। ছুরিকাঘাতে আহত হন তার আপন ভাই ছদাহা ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও অপর ভাই কুলিং কর্ণার ব্যবসায়ী মো. শাহনেওয়াজ।