চট্রলার কণ্ঠ নিউজ।
নিজ সংসদীয় আসনে যে সকল পুরনো নেতারা গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, সেসব আসনে প্রার্থী দিতে নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই নিয়ে গতকাল শনিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন–পুরাতন মিলিয়েই আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি। যেখানে পুরনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, সেখানে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। ইলেক্টেবল ক্যান্ডিডেট যারা, সেটাই হচ্ছে বিচারের মানদণ্ড। এছাড়া কতজনকে বাদ দেব, কতজন রাখব, এ ধরনের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের মাথায় রয়েছে কাকে দিলে আমাদের দল নির্বাচনে জনগণের কাছে অধিকতর যোগ্য হবে। খবর বিডিনিউজের।
৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল যে তফসিল ঘোষণা করেছেন, তাতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ রেখেছেন ৩০ নভেম্বর। তার আগেই শনিবার প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের কথা বলেছিল আওয়ামী লীগ। এখন ক্ষমতাসীন দলটি বলছে, তালিকা প্রকাশ হতে রোববার লেগে যেতে পারে।
২০০৮ সাল থেকেই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। এবারও তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলেও কারা জোটে থাকবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি দলটি। তবে জোটের প্রার্থী নির্বাচনে জনপ্রিয়তাকেই পাল্লায় মাপার কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের।
শরিকদের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান। আমরা শরিকদের বিষয়ে এখনও ঠিক করিনি। কারণ জোটের বিপরীতে জোট হয়। এখানে আমাদের প্রতিপক্ষের যদি একটা বড় জোট হয়, সেখানে সেটার বিপরীতে আমাদের জোট হবে। তাছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাব। প্রয়োজন না থাকলে জোট করব না। জোট করব যাদের নিয়ে মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের শরিকদের মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।