ইমরান নাজির।
শিশু–কিশোরদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতে নগরীতে স্মার্ট স্কুল বাসের যাত্রা শুরু হয়েছে। ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্রের সামনে স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে স্মার্ট বাসের এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এরপর নগরীর ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী স্মার্ট কার্ড চেপে বাসে ওঠে।
আজ মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্মার্ট স্কুল বাস সড়কে চলাচল করবে। চলতি বছর প্রতিজন শিক্ষার্থী নগরীর যেকোনো স্থান থেকে ৫টা মূল্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত সুবিধা পাবে। শিক্ষার্থীরা বাসে উঠে বা নামার সময় হাজিরা যন্ত্রের সামনে স্মার্ট কার্ড চাপ দিলেই খুদে বার্তা পেয়ে যাবেন অভিভাবক। এছাড়া ঘরে বসেই জিপিএস ট্র্যাকিং ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে বাস ও শিক্ষার্থীর অবস্থানও দেখা যাবে। স্মার্ট এই স্কুল বাসে ফেইস রিকগনিশন সুবিধা থাকবে বলে জানা গেছে। নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত, অভিভাবকদের ভোগান্তি, যানজট ও জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
স্মার্ট স্কুল বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারবেন। এছাড়া সড়কে যানজটও অনেক কমে যাবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, নগরীর ১০টি স্কুল বাসে জিপিএস ট্র্যাকার, জিআইএস প্রযুক্তি, ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস ও আইপি ক্যামেরা স্থাপন করে এসব বাসকে স্মার্ট করা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ–২০২৩ এর আওতায় প্রথম পুরষ্কার পায় এই প্রকল্পটি। প্রাথমিকভাবে আজকে একটি বাস উদ্বোধন করা হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে ১০টি স্কুল বাস সড়কে চলবে।
আবুল মোমেন বলেন, প্রকল্পটি চালু করেছে জেলা প্রশাসন। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণে এই প্রকল্প দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং শিক্ষার্থীরা আরও বেশি লাভবান হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন রাশেদ মোস্তফা, জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম, বাস মনিটরিং টিমের উপদেষ্টা নুরুল আজিম রনি, নগরীর ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।