কলিম উল্লাহ
আড়াই বছরের কন্যাকে নিয়ে পিতার বাড়িতে থাকতেন হুমাইরা। তার পিতা কৃষিকাজ করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দায়ের কোপে বাবাকে খুন করে মেয়ে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় লোহাগাড়ার পুটিবিলা পাহাড়ি অঞ্চল সড়াইয়া বলিরজুম এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই মেয়েকে হেফাজতে নিয়েছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
নিহত আবদুর রহমান (৫০) ওই এলাকার মৃত আলতাফ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, আবদুর রহমান পেশায় কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে মেয়ে হুমাইরা বেগম (২২) আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। গরুকে ঘাস না দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যান মেয়ে হুমাইরা। উত্তেজিত হয়ে বাড়িতে গিয়ে দা নিয়ে এসে পিতা আবদুর রহমানকে গলায় ও হাতে কোপ দেন তিনি। দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন পিতা। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় আবদুর রহমানের।
ঘটনার খবর পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফার্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পরপরই মেয়ে হুমাইরা বেগমকে (২২) ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। এসআই সত্যজিৎ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষ করেন।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার পুটিবিলা সড়াইয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত পিতার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় ও হাতে দায়ের কোপের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই মেয়েকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। লাশের সুরতহাল শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।