প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় কারামুক্ত হচ্ছেন না আমীর খসরু।
আজ বুধবার (২৪ জানিয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন অধিকতর জামিন শুনানিতে তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ১০ মামলার মধ্যে ১০ মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে রমনা ও পল্টনের আরও দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া রমনা ও পল্টন থানার আরও দুই মামলায় আমীর খসরুর অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
তারও আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রমনা থানার দুই ও পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।