ইমরান নাজির।
মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের অল্প টাকায় আমিষের যোগান দেওয়া মুরগির দাম বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে বেড়েছে ওজন ভেদে ১০-১৫ টাকা। মুরগি কিনতে গিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শনিবার (৯ ফেরুয়ারি) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে মুরগি কিনতে আসা সাইফুল্লাহ চৌধুরী চট্রলার কণ্ঠকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। কিন্তু শুক্রবার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।’
তার মতে, শুক্রবার মাংসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে বোধ হয় তাঁরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়তি রাখে।
মুরগি বিক্রেতা সায়েম বলেন, ‘মুরগির খাবারের দামসহ পরিবহন খরচ বাড়তি থাকার কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দাম। এছাড়া আনা-নেওয়ার সময় ঠান্ডাজনিত কারণে রাস্তায় মুরগি মারাও যাচ্ছে।’
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লারের পাশাপাশি সোনালী জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, দেশি মুরগি ৪৮০ থেকে ৪৯০। তবে খাসির মাংস আগের মতো ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে, গত দুদিনে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। এখন চট্টগ্রামের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, যা ছিল ১০০। গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৪০ টাকা। তার আগের সপ্তাহে কেজি ছিল ৮০ টাকার মধ্যে।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুড়ি কাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষ। বেশিরভাগ এলাকার কৃষক ওই পেঁয়াজ তুলে ফেলেছেন। আর হালি পেঁয়াজের ভরপুর মৌসুম শুরু হতে কিছুদিন বাকি রয়েছে। মাঝখানের এ সময়ে চলছে সরবরাহ ঘাটতি। যে কারণে বাজারে দাম বাড়ছে।
এদিকে নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ‘দীর্ঘদিন চড়া থাকা সবজির দাম কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে শিম, মুলা, শালগম, ফুলকপি ও টমেটোর মতো শীতের সবজিগুলোর দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিপ্রতি কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে গ্রীষ্মের করলা-বেগুনের মতো সবজি আগের মতো ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।’