ওয়াসিম জাফর।
রাত পোহালেই ঈদ। নগরের প্রধান কয়েকটি সড়কে ঘর-মার্কেটমুখো মানুষের কারণে কিছুটা যানবাহনের চাপ থাকলেও পুরো নগর এখন ফাঁকা। গাড়ির মাত্রাতিরিক্ত পেঁ-পুঁ শব্দ নেই, নেই যাত্রীদের অপেক্ষায় গণপরিবহন শ্রমিকদের হাঁকডাকও। কোলাহলমুখর ব্যস্ত নগরে সুনসান নীরবতা। এ যেন এক অন্যরকম চট্টগ্রাম।
এবার ঈদের তিন দিন ছুটি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে। শুক্র ও শনি সাপ্তাহিক ছুটি আর রবিবার পয়লা বৈশাখের সরকারি ছুটি। সব মিলিয়ে ছয় দিন। এ কারণে এবার আগেভাগে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে নগরবাসী। ঈদকে সামনে রেখে গতকাল থেকেই শহর ছাড়তে শুরু করে চট্টগ্রামের বাইরের মানুষজন।

এদিকে সরেজমিন নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে সড়ক, উপ-সড়ক ও অলিগলি ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে সড়কে অল্প সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ নানা ধরনের পরিবহন চলাচল করছে। নগরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে যানজট না থাকায় দ্রুত গতিতে এসব পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। যদিও কিছু কিছু সড়কে ঈদ বাজার কেন্দ্রিক যানজট আছে। মার্কেটগুলোতে চলছে রাতদিন সমানে বিকিকিনি। রাত যতই বাড়তে থাকে ততই ঈদের কেনাকাটা করতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
চট্টগ্রাম নগরের সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে কুমিল্লা যাচ্ছেন মোহাম্মদ মোমিন। সিভয়েস২৪-কে তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে গাড়ির তেমন চাপ নাই। পরিবারকে আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ আমিও যাচ্ছি। ফাঁকা শহরে মনে হচ্ছে দুই তিন মিনিট সময় লাগছে। কোথাও জ্যাম নেই, সিগন্যাল নেই।’
১০ নম্বর রুটের বাসচালক ইব্রাহিম সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘ঈদের আগের দিন এবং পরের আরও দুই একদিন রাস্তাঘাটে এমন শান্তি থাকে। ফাঁকা শহরে গাড়ি চালিয়ে অন্যরকম শান্তি পাওয়া যায়। অন্য সময় তো জ্যাম আর সিগন্যালে জীবন শেষ।’
বেসরকারি চাকরিজীবী মেজবাউল হক বলেন, আগে অফিস টাইম শেষে বিকেল ৫টায় আগ্রাবাদ থেকে জিইসি মোড় পৌঁছাতে সময় লাগতো পাক্কা এক ঘন্টার উপর। এখন রাস্তা ফাঁকা থাকায় এখন যাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৫ মিনিটে। ঈদ এলেই শহরের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।’