ডিসেম্বর ৮, ২০২৪ ৩:২০ অপরাহ্ণ

একই ব্যক্তি সরকারি দুই পদে

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আফতাব উদ্দিন

 

তিনি একাধারে একটি কলেজের শিক্ষক। আবার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবও। অথচ সরকরি নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তির দুই স্থানে চাকরি করার কোন সুযোগই নেই। সরকারি এমন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কানু কুমার নাথ নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ ২৭ বছর চট্টগ্রামের দুই উপজেলায় তথ্য গোপন করে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন। আর এ ২৭ বছরে বেতন ভাতা বাবদ প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। যার প্রমাণ মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে।

দুদক এর বিশ্বস্ত  সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার কমলদহ খাজুরিয়া গ্রামের বিনোদ বিহারী নাথের ছেলে কানু কুমার নাথ ১৯৯১ সালে হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। যোগদানের চার বছরের মাথায় তথা ১৯৯৪ সালের ৫ মে নিয়োগ পেয়ে ৮ মে পার্শবর্তী উপজেলা ফটিকছড়ির হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিষয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।

এরমধ্যে ২০০২ সালের এপ্রিলে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিও পান কানু কুমার নাথ। তবে তিনি কলেজে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও প্রথম কর্মস্থল মির্জাপুর ইউনিয়নের সচিব পদে অন্য ব্যক্তি তার হয়ে নিয়মিত কাজ করতেন। যার জন্য ওই ব্যক্তিকেও অর্থ প্রদান করতেন কানু কুমার নাথ। তবে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতেন তিনি।

দুদক জানায়, তথ্য গোপন করে দুই পদে চাকরি করে আসলেও ২০২১ সালে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্তও করে। তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হলেও কানু কুমার নাথ ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২১ সাল (বরখাস্ত হওয়া) পর্যন্ত দুই স্থান থেকেই সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে কলেজের বেতন বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন যা দুদক আইনে অপরাধের সামিল।

দুদকের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য গোপন করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারি কর্মচারীজনিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে চাকুরিতে যোগদান এবং সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করবে দুদক। এ জন্য প্রস্তুতিও গ্রহণ করছে দুদক।

দুই পদে চাকরি করার বিষয়টি স্বীকার করে কানু কুমার নাথ চট্টলার কণ্ঠকে  বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হইছিল, পরে এ বিষয়ে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। অনেক শুনানির পর এখন তা মিমাংসা করে দিয়েছে। কিন্তু এখন তা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক