নাফ নদীতে গোলাগুলিতে নিহত একজন

কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ড এবং মাদক কারবারি ও ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এ সময়  ১০ হাজার ইয়াবা, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলিসহ ১৬ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম উল হক।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমূদ্র এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জানুয়ারি রাত ১১ টায় কোস্টগার্ড পূর্ব জোন অধীন বিসিজি স্টেশন টেকনাফ ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরীর দ্বীপ সমূদ্র এলাকায়  বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।’

লে. কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম উল হক জানান, অভিযান চলাকালে মিয়ানমারের মংডুর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে একটি বড় ইঞ্জিন চালিত ফিশিং বোট বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে। কোস্টগার্ড আভিযানিক দল থামার সংকেত দিলে বোটটি সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে কক্সবাজারের দিকে পালাতে শুরু করে। একপর্যায়ে কোস্ট গার্ডের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু হয় বোটটি থেকে।

এ সময় কোস্টগার্ডের আভিযানিক দল আত্মরক্ষার্থে এবং বোটটিকে অকেজো করার উদ্দেশ্যে ওয়াটার লাইন এবং ইঞ্জিন রুম বরাবর গুলি চালায়। এতে বোটটি থেমে যায় এবং বোটটি আটক করা সম্ভর হয়। পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে করে ১০ হাজার ইয়াবা, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলিসহ ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়।

লে. কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম উল হক বলেন,‘বোটটিতে তল্লাশি চলাকালে ইঞ্জিনরুমে একজন পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক সমূদ্রে ফেলে দেন। সমুদ্রে ফেলে দেয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও আটককৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক