ওয়াসিম জাফর
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নগরের প্যারেড ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাফসির মাহফিল। আগামী ২৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী চলবে এ মাহফিল। যেখানে সমাবেশ ঘটবে বিপুল শ্রোতার। তবে শ্রোতার সমাগমের তুলনায় প্যারেড ময়দান যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে মাহফিল আয়োজক কমিটি। প্যারেড ময়দানে জায়গার সংকুলান হবে কী হবে না তা ভাবতে হচ্ছে তাদের।
গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান
ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এবারের তাফসির মাহফিলের প্রস্তুতির কাজ আরো আগে থেকে শুরু হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে তাফসির এন্তেজামিয়া কমিটি ও ১৯টি সাব-কমিটি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আশা করছি, মাহফিলে বিপুল শ্রোতার সমাবেশ ঘটবে। আমরা অনুভব করছি সেই তুলনায় মাঠটি যথেষ্ট নয়।’
ময়দানে এবার মহিলাদের জন্য প্যান্ডেল থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্যারেড মাঠের মূল প্যান্ডেলে এবার মহিলা প্যান্ডেল থাকবে না। মূল প্যান্ডেলে থাকবে পুরুষ শ্রোতাদের বসার ব্যবস্থা, মেহমান ও সাংবাদিকদের বসার বিশেষ ব্যবস্থা, সেনিটেশন ব্যবস্থা, দর্শক-শ্রোতাদের মৌলিক প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের সহায়তায় প্রয়োজনীয় স্টল। স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠের নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। সাথে থাকবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’
তবে ময়দানের দক্ষিণে মাহফিলের মহিলা শ্রোতাদের আসা-যাওয়া, বসা ও শুনার সহজ ব্যবস্থার থাকবে জানিয়ে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘মাহফিলের মহিলা শ্রোতাদের আসা-যাওয়া, বসা ও শুনার সহজ ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে এবার মূল মাঠের দক্ষিণে মহসিন কলেজের মাঠ, কাজেম আলী হাই স্কুল ও গুলজার বেগম হাই স্কুলে এবং মূল মাঠের উত্তরে কিশালয় কমিউনিটি সেন্টার ও কাপাসগোলা কলেজে মহিলা প্যান্ডেল থাকবে। এই সব প্যান্ডেলে মহিলাদের বসার, শুনার ও প্রয়োজনীয় যথাসম্ভব সেনিটেশন ব্যবস্থা থাকবে। নিয়ম শৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সহায়তায় থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মানিত সদস্যরা।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘মূল মাঠের চারপাশের এলাকায় অবস্থান ও শুনার ব্যবস্থা রাখা হবে। প্যারেড মাঠের চতুর্দিকে দক্ষিণে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ মোড় ও জামালখান তথা চেরাগীপাহাড় মোড় পর্যন্ত, উত্তরে মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচলাইশ থানা মোড় পর্যন্ত, পূর্বে চকবাজার ধুনির পোল ও বাকলিয়া এক্সেস রোডের সুবিধাজনক অংশ পর্যন্ত এবং পশ্চিমে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল পরবর্তী সি.জি.এস স্কুল মোড় পর্যন্ত; চারদিকের এসব এলাকায় অবস্থিত মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মার্কেটগুলোর সদয় সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় যে সব শ্রোতা সমবেত হবেন; তাদের শুনার ব্যবস্থা থাকবে। ব্যবস্থা থাকবে এলইডির, সেনিটেশন ব্যবস্থা মজুদ রাখা হবে। শান্তি ও নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা থাকবে। তাদের সহযোগিতার জন্য থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের সম্মানিত সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, পরিষদের সহকারী সেক্রেটারি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, তাফসিরুল কুরআন মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির প্রচার বিভাগীয় দায়িত্বশীল ও সাংবাদিক মুহাম্মদ উল্লাহ, ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সেলিম উল্লাহ জামান প্রমুখ।